আজ রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি বিতর্ক ‘আইভী বিএনপি মার্কা’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নতুন বিতর্কে মেয়র আইভী । গত শনিবার নারায়ণগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সড়ক উদ্বোধন করেছেন তিনি। সেখানে অনুষ্ঠানের ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিল না, ছিল না মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরও ছবি। এ দাবি আইভী বিরোধীদের।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা বলেন, গতকাল (শনিবার ) একজন প্রতিনিধি মুক্তিযুদ্ধ সড়ক উদ্বোধন করেছেন। যার একক নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেখানে ব্যানারে ছবি লাগানো হয়নাই, নেত্রীরও ছবি লাগানো হয়নাই। এটা একটা লজ্জার কথা, এটা আমাদের জন্য কলঙ্কজনক। ‘যেখানে রাষ্ট্র আইন করে দিয়েছেন, সমস্ত অফিস আদালতে জাতির জনকের ছবি থাকবে। সেখানে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চেয়ারে বসে বঙ্গবন্ধুর ছবি লাগান না। এটা ভাবতেও কষ্ট লাগে।’

একই অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম বলেন, উনি মুখে বলেন এক, কাজ করেন আরেক। উনি জয় বাংলা স্লোগান দেন, কাজ করেন জামায়াত-বিএনপির। তিনি বারবার পরিচয় দেন আওয়ামী লীগ করেন, আর আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেন। মেয়র আইভী বঙ্গবন্ধুর কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। জামায়াত-শিবির-বিএনপি তার বন্ধু। তিনি তাদের হয়ে প্রকাশ্যে কাজ করেন। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এনসিসির ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে উদ্দেশ্য করে তারা সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পূর্বেও এসেছিলাম ভোট চাইতে। সেদিন ভুল করেছিলাম। তাই হাত জোড় করে ক্ষমা চাইছি। আমরা নৌকার জন্য ভোট চাইবো। বিএনপি মার্কা আইভীর জন্য নয়। এই ভুল আমাদের অনেক শিক্ষা দিয়েছে। শামীম ওসমান উন্নয়ন করেন, আর তিনি (আইভী) বাহবা নেন। এই ভুল আর করতে দেওয়া যাবে না।

শাহ নিজাম আক্ষেপ করে বলেন, সিটি কর্পোরেশনে কোন উন্নয়ণ মূলক কাজ হয়নি। ভালো কোন হাসপাতাল নেই এখানে। হার্টের চিকিৎসার জন্য এখনো ঢাকা যেতে হয়। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি নিয়ে মানুষের দুয়ারে গিয়ে তিনি (আইভী) ভোট চেয়েছিলেন, শামীম ওসমানের নেতা-কর্মীরা তার জন্য ভোট চেয়েছিলেন। আমি নিজেও চেয়েছিলাম। পাস করার পর তিনি বললেন তার বাবার পরিচয়ে নাকি পাস করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা শামীম ওসমানের কর্মী। আমরা নেতার নির্দেশে এমন একজন জনপ্রতিনিধিকে সিলেকশন করবো, যে আপনাদের কথা শুনবেন, সুখ-দুঃখে পাশে থাকবেন, আপনারা মত প্রকাশ করতে পারবেন।

কর্মী সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুঁইয়া সাজনু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া।

খোকন সাহা আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত নাজুক। সিটি কর্পোরেশনের বর্র্জ্যগুলো শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলা হয়। বর্জ্যগুলো রিফাইন করে নদীতে ফেলা উচিৎ ছিল। গত ১৮ বছরে উনি (আইভী) এ কাজটি করেন নাই। তিনি শীতলক্ষ্যা নদী খননের কথা বলেছেন। তিনি শীতলক্ষ্যা নদী হত্যার চেষ্টাকারী। সিটি কর্পোরেশনের মশা মারার জন্য কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রপাতী কেনা হলো। ওইগুলি গেল কোথায়?